আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৪৬ পিএম
জুলাই-আগস্টের গণহত্যাকারীদের দেশব্যাপী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন'; ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; ‘জেগেছে রে, জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে; ‘খুনি লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; ‘আলি রায়হান মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ; ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো; ‘ দিয়েছি তো রক্ত, আরো দিবো রক্ত; ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না'; ‘আমার সোনার বাংলায়,আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই' ইত্যাদি স্লোগানে দেয় তারা।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানিতে নাৎসি পার্টি গণহত্যা চালানোর দায়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলো৷ তারা এখনো নিষিদ্ধ। কিন্তু আওয়ামী লীগ দেশে গণহত্যা চালানোর পরেও এখনো নিষিদ্ধ হচ্ছে না। যে আওয়ামী লীগের গায়ে শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের রক্ত লেগে আছে, সেই আওয়ামী লীগকে কোন স্বার্থ বাস্তবায়ন করার জন্য তাদেরকে নিষিদ্ধ করছে না, তা আমার জানতে চাই। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলবো, আপানারা অতিদ্রুত গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেন। সারা বাংলার ছাত্র-জনতা আপনাদের সাথে আছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ৫ আগস্টে আমরা আওয়ামী লীগকে দাফন করলেও আমাদের কাছে ডেথ সার্টিফিকেট নেই। আমরা আওয়ামী লীগের ডেথ সার্টিফিকেট চাই। যে সকল রাজনৈতিক দল আজ আওয়ামী লীগের প্রতি নমনীয়তা দেখাচ্ছে তাদের জানিয়ে দিতে চাই ৫ আগস্ট না আসলে জামাত বিএনপি সকলকেই ৫ আগস্টের দায় নিয়ে নিষিদ্ধ হতে হতো।
তিনি আরো বলেন, হাজার হাজার ছাত্রদল আপনাদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে শুধুমাত্র জুলাই গণহত্যাসহ সকল প্রকার গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে সারা জীবনের জন্য নিষিদ্ধ করার জন্য। আমরা ইন্টেরিম সরকারকে জানাতে চাই, আপনারা অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে সংস্কার ও নির্বাচন এর ব্যবস্থা করেন, তা নাহলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে আবারও রাজপথে নামতে রাজি আছে ছাত্র জনতারা।
আরেক সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছেন তারা রাজনীতি করেনাই, তারা রাজনীতির নামে ফ্যাসিবাদের চর্চা করেছে। শেখ মুজিব যখন ক্ষমতায় আসে, তিনি গণতন্ত্রকে ধূলিসাৎ করে বাকশাল গঠন করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর, পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাই আওয়ামী লীগ নষ্ট করে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পৃথিবীতে আমরা দেখেছি, যেই দেশেই কোনো রাজনৈতিক দল গণহত্যায় জড়িয়েছে, তারা আর কখনো রাজনীতি করার সুযোগ পায়নি। এই আওয়ামী লীগ যে শুধু গণহত্যা করেছে তা নয়, তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকেও বিনষ্ট করেছে। সুতরাং আওয়ামীলীগকে অনতিবিলম্বে বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে অথবা গণভোটের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: