ইবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:০৯ পিএম

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষ শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয়ভাবে বরণ করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ‘ফ্রেশার্স রিসিপশন-২৫’ নামে দুইদিনব্যাপী আয়োজনের প্রথমদিন সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে সামাজিক বিজ্ঞান, আইন ও বিজ্ঞানভুক্ত (বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও প্রকৌশল) তিন অনুষদের নবীনদের বরণ করে নেওয়া হয়।
 
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের সভাপতি, শিক্ষক, প্রভোস্ট এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ।
 
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি আমাদের সম্মিলিত সম্পদ। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবাই মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধি করতে হবে।
 
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, রাষ্ট্র তোমাদের পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করে। তাই তোমাদের শুধু ডিগ্রিধারী নয়, বরং দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।” তিনি সেশনজটমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে শিক্ষকদের নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
 
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো ধারাবাহিক শিক্ষার সর্বোচ্চ ধাপ। এখান থেকেই তোমাদেরকে পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সফলতার একমাত্র পথ হলো কঠোর পরিশ্রম।
 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, সকলকে নিয়েই একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে কারোর ভুমিকা অন্য কারো থেকে নগণ্য বা বড় নয়। এখান থেকেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়।
 
তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় ছাত্র-শিক্ষক উভয়েই গবেষক ও শিক্ষার্থী হিসেবে একে অপরের পরিপূরক। শিক্ষার্থীদের আবেগ-অনুভূতি গঠনে শিক্ষকদের বিশেষ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অনেক ছোট ছোট বিষয় থেকেও একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ তৈরি হতে পারে। তাই প্রতিটি বিষয়ে শিক্ষকদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
 
জুলাইয়ের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, তোমরা যেভাবে ভূমিকা রেখেছিলে, তা শুধু এই দেশ নয়, পুরো বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে দেখেছে। তাই দেশের প্রত্যাশাও এখন তোমাদের কাছে অনেক বেশি।
 
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে পাঁচটি অনুষদের ২২টি বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বেগম রোকসানা মিলি। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন, গীতা ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয়। এছাড়া তথ্যবহুল ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে প্রথম দিনের কার্যক্রম শেষ হয়।

LIMON

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর