আবরার ফাহাদের ৬ষ্ঠ শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ইবিতে দোয়া মাহফিল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত:
০৭ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:১০ পিএম

ইবি প্রতিনিধি: ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে বর্বর সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের নির্যাতনে নিহত বুয়েটের শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদের ৬ষ্ঠ শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে এ আয়োজন করে সংগঠনটি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী, আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিন মিঝি, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বারী। এছাড়াও শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম আশরাফ উদ্দীন খান।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, 'শহীদ আবরার ফাহাদ আমাদের এই পরিবর্তিত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় উজ্জ্বল তারকা; আমাদের চেতনা ও অনুপ্রেরণার দ্যুতি। ভারত গত ফ্যাসিস্ট রেজিমের কাছ থেকে এত সুবিধা পেয়েছে যে হাসিনা বাংলাদেশ থেকে বিতারিত হওয়ার পর তারাই হাসিনাকে ঠাঁই দিয়েছে । ভারত কিভাবে বাংলাদেশকে গিলে খাওয়া যায় সেই প্রচেষ্টায় ছিল। ভারত বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ। আশুলিয়া বন্দর ব্যবহার করার জন্য ভারত নিজেরা বাংলাদেশে রাস্তা, সেতু তৈরি করে দিয়েছে। শহীদ আবরার ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে গেছে।
শহীদ আবরারের প্রতিটি রক্ত হলো প্রতিবাদের রক্ত। যুবকদের মাঝে শহীদ আবরারের চেতনার রক্ত প্রবাহিত। এই চেতনার রক্ত যদি আমাদের ভিতরে থাকে তাহলে আমরা প্রতিবাদী কাজ করতে পারবো, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারবো। শহীদ আবরারের আমলনামায় আমাদের এই ভালো কাজের সাওয়াব লেখা হবে। চেতনার প্রেরণা আবরার, এটি হোক আমাদের ছাত্র সমাজের আলোচনার বিষয়। নতুনরা যাতে জানতে পারে আবরারকে কেন মারা হয়েছে । এ বিষয়টা নিয়েই আমাদের ফ্যাসিবাদ আগ্রাসন রুখে দিতে হবে। আমরা হত্যার পরিবর্তে হত্যা, সন্ত্রাসের পরিবর্তে সন্ত্রাস করতে চাই না। আমরা আমাদের আদর্শ, ভালবাসা, জনগণের কল্যাণ ও আবরারের মাথায় যে চিন্তা ছিল সেই চিন্তার প্রতিফলন ঘটাবো।'
মোনাজাত শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ করা হয়।
LIMON
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: