বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার বিএসএফের

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে ভারত। এর অংশ হিসেবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করছেন।
শুধু পাকিস্তানই নয়, বাংলাদেশ সীমান্তেও নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি তৎপর বিএসএফ।
তবে বিএসএফের একটি সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে বিএসএফের টহল বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে বিজিবির পক্ষ থেকেও টহল জোরদার করা হয়েছে বলে বিজিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
শুধু তাই নয়, সামনের দিনগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিএসএফের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ১৬টি নতুন ব্যাটালিয়ন গঠন করতে যাচ্ছে ভারত সরকার।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, ভারতীয় সীমান্তে দ্রুত পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং ভূপ্রকৃতিগত চ্যালেঞ্জের মুখে এই নতুন ইউনিট ও কমান্ড হেডকোয়ার্টার বিএসএফের সক্ষমতা ও কৌশলগত অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিগত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন সহ্য করতে না পেরে ভারত বাংলাদেশের ওপর যেন আরো প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠেছে।
সীমান্ত ঘুরে গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় লালমনিরহাট সীমান্ত পথে গবাদিপশু পাচার, আত্মীয়র সঙ্গে দেখা বা ভালো কাজের খোঁজে দুই দেশের মানুষ সীমান্ত পারাপার করে থাকে।
লালমনিরহাট পাটগ্রাম দহগ্রাম সীমান্তের জুলফিকার, তসর উদ্দিনসহ অনেকেই বলেন, সম্প্রতি বিএসএফের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কাটাতারার বেড়া লগ্ন এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে বিজিবি লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদি ইমরান বলেন, সীমান্তে বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে। আর সীমান্তের ওপারে ভারতের অভ্যন্তরে নতুন ব্যাটালিয়ন গঠনের বিষয়ে এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দহগ্রাম সংগ্রাম কমিটির সম্পাদক রেজানুর রহমান রেজা বলেন, আমরা আতঙ্কিত কারণ একের পর এক বিএসএফের আগ্রাসী তৎপরতায় সীমান্তবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
অবিলম্বে বিএসএফের তৎপরতা বন্ধের দাবি জানান তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: