টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চাঁদা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:০৪ পিএম

সংগৃহীত ফটো

শামীম মিয়া,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের মঈননগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।এ ঘটনায় ৪ জন গুরুতর আহত হয়।ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী পরিবারটি মৃত্যুর হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে বুধবার দুপুরে মির্জাপুর সাংবাদিক সংস্থায় এসে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ঘটনায় আহত আবু তালেব ও তার স্বজনরা।

এ ঘটনায় গোড়াই খামারপাড়া গ্রামের মৃত তারিফ উদ্দিনের ছেলে মো.মোস্তফা মিয়া বাদী হয়ে ১০জনকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলার আসামীরা হলেন, গোড়াই খামারপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেন পাখি,লোকমান,হানিফ সাধু,জোবায়ের, তোফাজ্জল,আকরাম,জামান,শিশির,তারা মিয়া, আল ইমরান আকাশ।এছাড়া আরও ৩-৪জনকে অজ্ঞাত আসামী হিসেবে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মারধরের শিকার আবু তালেব ও মামলা সুত্রে জানা যায়,গত বুধবার (৫মার্চ)মেসার্স কেবিএম-৩ ব্রিকসের সামনে দিয়ে ইটের ট্রাক যাওয়ার সময় সেটি আটকিয়ে ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বিবাদীরা। পরে খবর পেয়ে শফি ও আবু তালেব ঘটনাস্থলে গিয়ে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কোঁপাতে থাকে তারা। এসময় এগিয়ে গেলে বিবাদীরা বাদীর ভাই শফি, ছেলে আবু তালেবকে ছাড়াও ভাতিজা রাসেল এবং স্টাফ শরিফ ও মিলনকে বেধড়ক মারধর করে। এসময় আহতদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে আবু তালেব ও রাসেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসক। পরে সেখানেও তাদের অবস্থার অবনতি হলে সাভারের কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার জানায় তাদের দুজনের কিডনি বিকল হয়ে গেছে। পরে তাদের কিডনি ঠিক করতে ডায়ালাইসিস করা হয়। উল্লেখ্য, বিবাদীরা দীর্ঘদিন যাবত তাদের কাছে চাদা দাবি করে আসছিলেন বলে মামলা সুত্রে জানা যায়।

এদিকে ঘটনার দিনই মির্জাপুর থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে উভয়পক্ষ। পরে তা ১৫ মার্চ মামলা রুজু হয়।এ ব্যাপারে বিবাদী আলমগীর হোসেন পাখি তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের কথা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.মোশারফ হোসেন বলেন,ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।মামলা তদন্তাধীন।আইনি কিছু কাজ চলমান আছে,কাজ শেষ হলেই প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। এছাড়া নিরাপত্তাহীনতার ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন,তারা এ ব্যাপারে থানায় জি.ডি.করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

LIMON

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর