আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার, বরখাস্ত ২

প্রকাশিত: ০৮ মে ২০২৫ ২০:০৫ পিএম
আপডেট: ০৮ মে ২০২৫ ৮:২৮ পিএম

ফাইল ফটো

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং এসবির একজন কর্মকর্তাকে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুধবার (৭ মে) দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশে তিনি দেশ ছাড়েন।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ।

এর আগে রাত ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। সেখানে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে দেশ ছাড়েন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যা বললেন
এদিকে, আবদুল হামিদের দেশত্যাগে সহায়তাকারীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “তাদের (আবদুল হামিদকে বিদেশে যেতে সহায়তাকারীদের) কোনো অবস্থায় ছাড় দেওয়া যাবে না। আর যদি শাস্তির আওতায় না আনি, তাহলে আমি সে সময় চলে যাব।”

বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আমি বিষয়টি (সাবেক রাষ্ট্রপতি দেশত্যাগ) জানতাম না। এখানে আসার সময় জানতে পারছি। আমি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের সবাইকে শুধু পদত্যাগ নয়, শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”

গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। সেই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানাসহ ১২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ছাত্র-জনতার গড়ে ওঠা ঐক্য-আন্দোলনকে দমন করতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামি তালিকায় থাকা অন্যান্য মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতারা সারা দেশে গণহত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই অনুযায়ী তারা কিশোরগঞ্জে যাতে কোনো আন্দোলন হতে না পারে, সে বিষয়ে বাকি আসামিদের নির্দেশ দেন।

এমএসএস

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর