প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের কাছে ডিএমপি কমিশনারের দুঃখ প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ২৮ আগষ্ট ২০২৫ ০০:০৮ এএম

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের কাছে ডিএমপি কমিশনারের দুঃখ প্রকাশ

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে এসে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনাকে `অপ্রীতিকর' বলে বর্ণনা করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে দাঁড়িয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, ‍“হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে যে অপ্রীতিকর ঘটানো হয়েছে, সেই জন্য আমি ডিএমপির পুলিশ কমিশনার হিসেবে অত্যন্ত দুঃখিত এবং দুঃখ প্রকাশ করছি।”

বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহবাগ মোড়ে আসেন ডিএমপি কমিশনার। সেখানে তিনি আরো বলেন, “এই ঘটনার জন্য আমি একটি তদন্ত কমিটি আগামীকাল গঠন করে দেব।”

সাজ্জাত আলী বলেন, “রংপুরের ঘটনায় রংপুরের মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আমি এখানে আসার আগে কথা বলেছি। সেখানে একটা জিডি হয়েছে। এই জিডির আসামিকে ধরার জন্য উনার সঙ্গে কথা বলছি। উনি আমাকে কথা দিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব সেই আসামিকে উনি ধরে দেবেন।”

ঢাকার সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে চাকরিতে বৈষম্য দূর করার তিন দাবি নিয়ে দুদিন ধরে আন্দোলন করছেন। এই ধারায় প্রথম দিনের পর দ্বিতীয় দিন বুধবার তারা শাহবাগ অবরোধ করে সেখান থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে রওনা হলে পুলিশ তাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। এ নিয়ে উত্তেজনা আরো ছড়িয়ে পড়ে। 

সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল। তবে তাতে কোনো সমাধান আসেনি। বৃহস্পতিবার আবার সব পক্ষকে নিয়ে বসে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পান শিক্ষার্থীরা।

তবে শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল, স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা উপদেষ্টাকে তাদের সামনে এসে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। উপদেষ্টারা আসেননি। অবশ্য তাদের বদলে আসেন ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী। তিনি এসে দুঃখ প্রকাশ করেন।

বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলেন প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ওয়ালী উল্লাহ। তিনি জানান, পরবর্তী কর্মসূচি বৃহস্পতিবার বিকালে ঘোষণা করা হবে। তার ঘোষণার পর সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি ঘিরে সারা দিন শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়; ভোগান্তির শিকার হন পথচলতি মানুষ।

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তিন দাবি হলো:

১. সরকারি চাকরিতে নবম গ্রেডে ৩৩ শতাংশ কোটা রয়েছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য। সেই কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে।

২. দশম গ্রেডে ১০০ শতাংশ কোটা রয়েছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য। এটি বাতিল করে সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

৩. বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করা যাবে না। যদি এই পদবি ব্যবহার করে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

LIMON

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর