‘নাগরিকের নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া ও ফিরে আসা নিশ্চিত করাই পুলিশের কাজ’
সাতক্ষীরার নবাগত পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল (বিপিএম) বলেছেন, “দেশের সম্মানিত নাগরিকরা নিরাপত্তার সাথে ভোটকেন্দ্রে যাবেন, ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এবং সেখান থেকে নির্বিঘ্নে ফিরে আসবেন। এই পরিবেশ তৈরি করাই পুলিশের দায়িত্ব। কে কাকে ভোট দেবেন বা কে জিতবেন–হারবেন, এটি পুলিশের বিষয় নয়।”
গতকাল দুপুরে সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এসপি আরেফিন জুয়েল বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের সহযোগিতায় সাতক্ষীরায় একটি স্বচ্ছ, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন উপহার দিতে পারবো। আমার এখানে আসার প্রধান উদ্দেশ্য—জাতীয় নির্বাচনকে নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্যভাবে সম্পন্ন করা।
তিনি আরও বলেন, “বিগত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তিক্ত ছিল—কোনোটাই গ্রহণযোগ্যতার পর্যায়ে ছিল না। এবার গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে আমরা নতুন যাত্রা শুরু করেছি। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ঐতিহাসিক নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। এর অংশ হতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।”
নির্বাচনের সময় পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে তিনি বলেন, “কেবল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভোটের পরিবেশ বজায় রাখা—এটাই আমাদের কাজ। পুলিশ হিসেবে আমরা সততা, নিরপেক্ষতা এবং দক্ষতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করবো। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে আমাদের সদস্যদের প্রশিক্ষণ চলছে। সাংবাদিকরাও আমাদের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবেন বলে বিশ্বাস করি।
এ সময় তিনি সাতক্ষীরায় অবৈধ লেনদেন, অনলাইন জুয়া, চুরি, কিশোর গ্যাং, যানজট এবং শ্যামনগর–সুন্দরবনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন।
“সব ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন,” যোগ করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মুকিত হাসান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মিথুন সরকার, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামানসহ জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: