রাজশাহী-২ আসনে ভোটারদের হৃদয় জয় করেছেন গরিবের ডাক্তার জাহাঙ্গীর
আপডেট: ২৯ আগষ্ট ২০২৫ ৩:১৩ পিএম

তরিকুল ইসলাম মজিদী, স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী-২ (সদর) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে ঘিরে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।
রাজনীতির মাঠে কোনো ধরনের কোন্দল, হানাহানি বা বিভাজন ছাড়াই তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক হয়েও সাধারণ মানুষের মতোই সাদাসিধেভাবে চলাফেরা করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা।
গত ১৭ বছর আওয়ামী দুঃশাসনের কবলে পড়ে ডা. জাহাঙ্গীরের উপর নেমে এসেছে জেল-জুলুম, মামলা, হামলা ও নানা ধরনের নির্যাতন। ডাক্তার জাহাঙ্গীরের সচ্ছ ইমেজ এর কাছে প্রতিপক্ষ রাজনীতি নেতারা দেখতে না পেরে জুলুম নির্যাতন যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় তখন ডাক্তার জাহাঙ্গীর রাজশাহী ছেড়ে ঢাকায় চলে আসেন, ঢাকায় এসেও জনগণকে সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আদ-দীন ব্যারিস্টার রফিকুল হক হাসপাতালে যোগদান করেন যেটি ঢাকার জুরাইনে অবস্থিত।
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর তিনি আবারো ফিরে এসেছেন জনগণের মাঝে। এখন তিনি কেবল একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক নন, বরং জনগণের প্রিয়জন, গরিবের ডাক্তার, নির্যাতিত মানুষের পথপ্রদর্শক হিসেবে রাজশাহীর মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।
রাজপাড়া থানার স্থানীয় বাসিন্দা জসিম বলেন—
“ডা. জাহাঙ্গীর খুব ভালো মানুষ, নিরহংকার ও নির্লোভ। তিনি সবসময় মানুষের পাশে থাকেন।”
কাশিয়াডাঙ্গার ফরিদ উদ্দিনের ভাষ্য—
“গরিব-দুঃখী রোগীদের তিনি বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেন। কারো কাছে ফিরিয়ে দেন না। তাঁর কাছে সবাই সমান।”
সিটি কর্পোরেশনের ৩নং ওয়ার্ডের ভোটার মনিরুজ্জামান বলেন—
“জামায়াতের লোকজন সবসময় মানুষের উপকার করে। ডা. জাহাঙ্গীর রাজশাহীবাসীর আশার প্রতীক।”
বিগত রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ এবার নতুন নেতৃত্ব চান। আর সেই নতুন নেতৃত্ব হিসেবে জনগণের মাঝে সর্বাধিক আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তিনি নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন জনগণের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার নিয়ে। রাজশাহী সদরের পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজার, চায়ের দোকান সর্বত্র তাঁকে ঘিরে মানুষের উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ভোটারদের আশা, ডা. জাহাঙ্গীর এবার রাজশাহীর জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি হয়ে সংসদে যাবেন এবং একটি মানবিক, সৎ ও সেবাধর্মী নেতৃত্ব উপহার দেবেন।
এআরএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: