গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমানের পরেই নির্বাচন: রেজাউল করিম

প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:০৯ এএম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ও ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে পেছনে ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই বরং সংস্কার ও গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমানের পরেই নির্বাচন দিতে হবে। আর সে নির্বাচন হতে হবে পিআর পদ্ধতিতে। ভোট চুরির নির্বাচন জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কাফরুল দক্ষিণ থানা জামায়াতের উদ্যোগে ঢাকা-১৫ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষে ইব্রাহিমপুর থেকে পুলপার-মিরপুর ১৩ এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বর্তমান সরকার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফসল। তাই সরকারকে জনগণের কাছে দেয়া সব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে। সে প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই তারা রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। আমরা সব কমিশনকে সাধ্যমত সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে। কিন্তু একটি বড় রাজনৈতিক দল এসব সংস্কারকে সাংবিধানিক বা আইনগত ভিত্তি দিতে চায় না।

পিআর পদ্ধতির নির্বাচন আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দায়সারা কোনো নির্বাচন জনগণ মানবে না বরং নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য। এ দাবি কোনোভাবেই পাশ কাটানোর সুযোগ নেই। আর প্রচলিত পদ্ধতির নির্বাচনে জনমতের পুরোপুরি প্রতিফলন হয় না। মূলত, জুলাই সনদ প্রণয়ন করে সাংবিধানিক ভিত্তি দিয়েই সে সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। এসব ক্ষেত্রে আইনি প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি বা প্রয়োজনে গণভোটের আয়োজন করতে হবে।

তিনি এসময় নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

এদিন গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ও থানা সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবু নাহিদ, থানা কর্মপরিষদ সদস্য বোরহান আলী, সালাউদ্দিন শাহিন, ওয়াহিদুর রহমান তপন, ছাত্রনেতা নাইমুর রহমান, জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, জহির উদ্দিন, সনেট, জাকির হোসেন, শামিম, এনামুল, নুর আহমেদ ও শ্রমিক নেতা সেলিম খলিফা প্রমুখ।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর