ইয়ামাল প্রসঙ্গে ইনজাগি
এমন প্রতিভা ৫০ বছরে একবার আসে

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা এবং ইন্টার মিলান। অলিম্পিক লুইস স্টেডিয়ামে সফরকারী দলের করা তিনটি গোলেই অবদান রাখেন ডেঞ্জেল ডামফ্রিস- করেছেন জোড়া গোল, বাকি গোলে সহায়তা করেছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এরপরও আলাদাভাবে ম্যাচের আলো নিজের দিকে টেনেছেন লামিনে ইয়ামাল। তাই এই স্প্যানিশ তরুণকে নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন ইন্টারের প্রধা
ম্যাচের ২১ মিনিটের মধ্যে দুইবার এগিয়ে যায় ইন্টার। ২৪তম মিনিটে দৃষ্টিনন্দন গোলে বার্সার হয়ে ব্যবধান কমান ইয়ামাল। প্রথমে বক্সের বাইরে ইন্টারের এক খেলোয়াড়ের কাছ থেকে বল কেড়ে নেন লামিনে ইয়ামাল। এরপর বক্সে ঢুকে অতিথিদের কয়েকজনকে ফাঁকি দিয়ে দারুণ এক শটে জাল কাঁপান এই স্প্যানিশ ফরওয়ার্ড।
শুধু তাই নয়, এদিন বেশ কয়েকবার অতিথিদের রক্ষণে হামলা দিয়েছেন ইয়ামাল। সুযোগ পেলেই ভীতি তৈরি করেছে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের মনে। তার একটি শট তো পোস্টে লেগে ফিরেই আসে। নাহলে ম্যাচে জয়ের হাসি মাঠ ছাড়তে পারতো বার্সা। সব মিলিয়ে মাঠের পারফরম্যান্সে দুর্দান্ত ছিলেন ইয়ামাল।
অভিষেকের পর থেকেই নিজের জাত চিনিয়ে আসছেন ইয়ামাল। ইতোমধ্যে সময়ের সেরা ফুটবলারদের একজন বনে গেছেন। তার সঙ্গে এখন মেসি-রোনালদোর মিল খুঁজে পান অনেকেই। অনেক নেটিজেন তো বলেই ফেলেন, মেসিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সব যোগ্যতাই আছে ইয়ামালের। এই ফরওয়ার্ড সেটা করতে পারবেন কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের দ্যুতি ছড়িয়ে প্রতিপক্ষ দলের কোচের মুগ্ধতা আদায় করতে পেরেছেন, এটাই বা ইয়ামালের জন্য কম কিসের।
ইয়ামালকে নিয়ে ইনজাগি বলেন, ‘গত আট-নয় বছরে আমি লামিনে ইয়ামালের মতো খেলোয়াড় দেখিনি। তাকে আটকে রাখার জন্য আমাদের তিনজন খেলোয়াড় রাখতে হয়েছিল।’
এই কোচ আরও বলেন, ‘ইয়ামাল এমন একজন প্রতিভাবান ফুটবলার যা ৫০ বছরে কেবলমাত্র একবারই আসে। তার মতো একজন ফুটবলারকে খুব কাছ থেকে দেখতে পেরে আমি মুগ্ধ।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: