বুলবুলকে পদ ছাড়তে বললেন তামিম

আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন। সেই নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনও গঠন করেছে বিসিবি। বর্তমানে বিসিবির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল দিনকয়েক আগে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও। তাই বিসিবির নির্বাচনের সব আলো এখন এই দুজনের দি
বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের প্রায় এক মাস বাকি থাকলেও এরই মধ্যে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। সম্প্রতি নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার অভিযোগের কথা জানিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটে দেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান বুলবুল। যা নিয়ে ক্রিকেট পাড়ায় চলছে ব্যাপক আলোচনা। সেই আলোচনার রেশ না কাটতেই এবার নির্বাচন করতে চাইলে বিসিবির সভাপতির পদ থেকে বুলবুলকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন তামিম ইকবাল।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দেশের একটি বেসরকারী টেলিভিশনের সঙ্গে আলাপচারিতায় এই আহ্বান জানান তামিম। একইসাথে নির্বাচনকে সরকারের প্রভাবমুক্ত রাখতেও আহ্বান জানিয়েছেন এই সাবেক অধিনায়ক। তামিম বলেন, আমার মনে হয় ওনার রিজাইন করে দেয়া উচিত। কারণ এটার কী গ্যারান্টি এটা ফেয়ার থাকবে? এটার কোনো গ্যারান্টি নাই। আমার কাছে মনে হয়, দ্য মোস্ট ফেয়ারেস্ট ডিসিশন তার নেয়া উচিত। আমরা মনে করি যেহেতু উনি একজন অনেস্ট ব্যক্তি।
তিনি বলেন, যেহেতু উনি (বুলবুল) ইলেকশন করবেন, এটা নিয়ে কারো কোনো ক্লেইম থাকতেই পারে না। উনি বিসিবি থেকে রিজাইন করুক। আর তো মাত্র ২৫-২৬ দিনের ব্যাপার। এখন আপনি যদি পাঁচদিন আগে যেয়ে রিজাইন করেন, তাহলে তো ওটার কোনো মানেই হয় না। তো আমার কাছে মনে হয় উনি একটা ট্রেন্ড সেট করতে পারেন যে–ইলেকশনের এক মাস আগে আমি রিজাইন করে দিয়েছি। তাহলে এটা ভালো দিক হয়।
আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিসিবির নির্বাচনে ক্লাব ক্যাটাগরিতে পরিচালক পড়ে লড়বেন তামিম ইকবাল। অনেকেরই ধারণা, তামিম ইকবাল বিসিবিতে নির্বাচন করলে হয়ত সভাপতির পদেই করবেন। কিন্তু তামিম ইকবাল নিজেই সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে বলেছেন, আগে তিনি ডিরেক্টর হতে চান। সভাপতি পদ নিয়ে এখনই ভাবতে চান না তিনি। আপাতত তার লক্ষ্য, পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে বিসিবিতে যুক্ত হয়ে ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করা।
তামিম বলেন, আগে আপনি ডিরেক্টর হন যেটা আপনার হাতে আছে। আপনাকে যদি কাউন্সিলররা ভোট দেয় তাহলে আপনি ডিরেক্টর হয়ে আসবেন। যখন আপনি হয়ে যাবেন, তখন এই বিষয় (সভাপতি) নিয়ে চিন্তা করতে পারেন; যে এইরকম কোনো অপরচুনিটি হইতে পারে কি পারে না।
তিনি আরও যোগ করেন, আমাদের নাম আসলে অটোমেটিকলি মানুষ জন এভাবে করে চিন্তা-ভাবনা শুরু করে। বাট আমার কাছে মনে হয় আপাতত আমাকে যদি ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞেস করেন, আমার ফোকাস শুধু বিসিবির নির্বাচন এবং বিসিবির ডিরেক্টর হওয়ার চেষ্টা করা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: