আফগানিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

পাওয়ার প্লে’তে যেভাবে ব্যাটিং করলো বাংলাদেশ দল, সেভাবে শেষের দিকে পারলো না। ফলে স্কোরবোর্ডে যতটা বেশি রান ওঠার কথা ছিল ততটা উঠলো না। তবুও, আফগানিস্তানের সামনে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করালো বাংলাদেশ দল।
আফগানিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
পাওয়ার প্লে’তে যেভাবে ব্যাটিং করলো বাংলাদেশ দল, সেভাবে শেষের দিকে পারলো না। ফলে স্কোরবোর্ডে যতটা বেশি রান ওঠার কথা ছিল ততটা উঠলো না। তবুও, আফগানিস্তানের সামনে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করালো বাংলাদেশ দল।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ১৫৪ রান। ৩১ বলে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেছেন তানজিদ হাসান তামিম।
প্রথম ওভারেই দু’বার আউট হতে গিয়ে বেঁচেছিলেন সাইফ হাসান। দ্বিতীয় বলেই জোরালো আবেদন উঠেছিল আউটের। এরপর পঞ্চম বলে ক্যাড ড্রপ হলো। ঘটনাবহুল প্রথম ওভারে উঠলো ৩ রান। এরপর ধীরে ধীরে হাত খুলতে শুরু করেন সাইফ হাসান এবং তানজিদ তামিম। আফগানিস্তান বোলারদের উইকেটের চারপাশে খেলে ১ম পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে রান তুললেন ৫৯টি।
কিন্তু পাওয়ার প্লে’র পরের ওভারে বল করতে আসা রশিদ খানকে আর সামলাতে পারলেন না পারভেজ হোসেন ইমনের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া সাইফ হাসান। ৭ম ওভারের চতুর্থ বলে রশিদ খানের বলে বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি। ২৮ বলে করলেন ৩০ রান। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
৬৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে এটাই স্বস্তির যে, উদ্বোধনী জুটিতে কিছু রান উঠলো আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সাইফ হাসান আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন কিছুদিন ধরে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিটন দাস।
কিন্তু মাঠে নামার পর থেকে কোনোভাবেই স্বচ্ছন্দে খেলতে পারলেন না। ১১টি বল মোকাবেলা করে ৯ রান করলেন তিনি। একটি বাউন্ডারি বা ছক্কার মার মারতে পারলেন না তিনি। দলীয় ৮৭ রানের মাথায় আউট হয়ে যান লিটন।
তবে তানজিদ তামিম আরেক প্রান্তে থেকে স্বচ্ছন্দে ব্যাট করছিলেন। ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার ছিল তার এই অর্ধশতকের ইনিংসে। হাফ সেঞ্চুরির পরই আউট হয়ে যান তানজিদ তামিম। ৩১ বলে ৫২ রান করে বিদায় নিলেন তিনি।
তাওহিদ হৃদয় খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। ২০ বলে ২৬ রান করেন তিনি। শামীম হোসেন পাটোয়ারী ১১ বলে ১১ রান করে আউট হন। শেষ দিকে জাকের আলী অনিক ১৩ বলে ১২ রানে এবং নুরুল হাসান সোহান ৬ বলে ১২ রান করেন।
আফগানদের হয়ে রশিদ খান এবং নুর আহমাদ ২টি করে উইকেট নেন। ১টি উইকেট নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
বাংলাদেশ একাদশ
তানজিদ হাসান তামিম, সাইফ হাসান, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), তাওহিদ হৃদয়, শেখ মেহেদী হাসান, নুরুল হাসান, জাকের আলী অনিক, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ।
আফগানিস্তান একাদশ
রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), সেদিকুল্লাহ অটল, ইবরাহিম জাদরান, গুলবাদিন নাইব, করিম জানাত, আজহমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান (অধিনায়ক), নুর আহমাদ, এএম গজনফার, ফজলহক ফারুকি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: