রমজানে খাদ্য বহির্ভূত পণ্য বাড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি

প্রকাশিত: ০৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:০৪ পিএম

মার্চ মাসে দেশের মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়ে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে দেশের মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশে নেমেছিল। রমজান মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ৮ শতাংশের ঘরে নামলেও গড় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের কারণে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত মাসিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশের অর্থ হলো ২০২৪ সালের মার্চে যে পণ্যের দাম গড়ে ১০০ টাকা ছিল ২০২৫ সালের মার্চে তা ১০৯ টাকা ৩৫ পয়সায় কিনতে হয়েছে।

মার্চের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, রোজার মাস মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমেছে। ফেব্রুয়ারি মাসেও দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। বাংলাদেশে দীর্ঘদিন উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল। গত বছর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশের ঘরেও গিয়েছিল। খাদ্য পণ্যের দাম কমায় অর্থনীতিতে বড় স্বস্তি এসেছে।

মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমলেও বেড়েছে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের দাম। এ মাসে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭ শতাংশে। ফেব্রুয়ারিতেও এ খাতের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

মার্চে শহরের তুলনায় গ্রাম এলাকায় পণ্য কেনায় স্বস্তি এসেছে। গ্রাম এলাকায় মূল্যস্ফীতি শহরের তুলনায় কম ছিল এ মাসে। গ্রাম এলাকায় মার্চে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১, ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। তবে শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশের ঘরে ঠেকেছে, ফেব্রুয়ারিতে তা ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ প্রায় তিন বছর উচ্চ মূল্যস্ফীতির ধকলের মধ্যে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার মূল্যস্ফীতি কমাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এরমধ্যে বাজার ব্যবস্থাপনায় নজর বাড়ানো হয়েছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর