জামায়াতের সঙ্গে ইইউ প্রতিনিধি দলের বৈঠক
আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:৫৬ পিএম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় ঢাকায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দূতাবাসে এ বৈঠক হয়।
আমিরে জামায়াতের সঙ্গে ছিলেন নায়েবে আমিরর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, আমিরের পররাষ্ট্র-বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলের সভাপতি মুনির সাতৌরী, লুক্সেমবার্গ (ইপিপি) ইসাবেলা ভিয়েডার-লিমা, পোল্যান্ডের (ইসিআর) আরকাদিুস মুলারচিক, এস্তোনিয়ার (রিনিউ ইউরোপ) উর্মাস পায়েট, নেদারল্যানসের (দ্য গ্রিন্স) কাতারিনাভিয়েইরাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, আমাদের সঙ্গে তাদের খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশের যে অবস্থা, সে বিষয়ে কথা হয়েছে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের ব্যাপারে কথা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা? কীভাবে হবে? এসব বিষয় তারা মূলত কথা বলেছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেয়াদ বাড়ালে যে ঐকমত্যে পৌঁছানো যাবে, এটা আমি মনে করি না। ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য একঘণ্টাই যথেষ্ট। তারপরেও বাড়ানো হয়েছে। এটার দু’টো কারণ হতে পারে— সিনসিয়ারলি আরও কিছু বের হয় কিনা, সেজন্য হতে পারে। বাট আই ডাউট। যা বের হবার তা বের হয়েছে। বাকিটা ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে, সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। যারা চাচ্ছে না এটার রিফর্ম হোক, আইনি ভিত্তি হোক এবং এর ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন হোক, মূলত তারাই এখন এ সমস্যা তৈরি করছে। এই এটিচিউড যদি চেঞ্জ না হয়, তাহলে এক মাস কেন, নির্বাচনের পর পর্যন্ত যদি মেয়াদ থাকে, তাহলেও হবে না। কিন্তু আমার সন্দেহ হয়, এটা টাইম ডিলে করার একটা কৌশল। এ প্রশ্নটি এখন মানুষের ভেতরে আছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা অলরেডি দুই-তিন মাস ধরে কনসেনসাস কমিটির সঙ্গে কাজ করছি, আমরা ঐকমত্যেও পৌঁছে গেছি। সুতরাং, এটাকে আইনি ভিত্তি দেওয়া শুধু সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আরও একবার দেখা যাবে— আমরা এক মাস ঘুরেঘুরে এক মাস পেছনে গেছি। একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু আরও একটি মাস চলে গেলো আমাদের কাছ থেকে।
ডা. তাহের আরও বলেন, আমরা নির্বাচনে যাবো না, এটা আমরা বলিনি। আমরা মনে করি, পিআর পদ্ধতিটাই উত্তম এবং সে দাবি করছি। আমরা যুক্তি দিচ্ছি, আমরা বুঝানোর চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি, আমাদের যুক্তি মানবে এবং সে ভিত্তিতেই আমরা নির্বাচনে যাবো। আমরা আপার এবং লোয়ার উভয় কক্ষে পিআর চাচ্ছি। আর আলোচনার টেবিলে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। আমরা আলোচনার টেবিলে যাওয়ার পক্ষে এবং আলোচনা করারও পক্ষে। তবে এর জন্য উদার মানসিকতা এবং নিরপেক্ষ মানসিকতার প্রয়োজন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: