আওয়ামী লীগ ফিরে আসা মানেই গণ-অভ্যুত্থান মিথ্যা: সারজিস

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগের ফিরে আসা মানেই গণ-অভ্যুত্থান মিথ্যা, আন্দোলন মিথ্যা, সেই সুযোগ বাংলাদেশের মানুষ কাউকে দেবে না।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালের আগস্টে পরিবর্তন এনেছে, সেটাকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না।
সারজিস আলম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা ভাবছেন, আওয়ামী লীগ আবার ফিরবে, তারা এই স্বপ্ন দেখা বন্ধ করুন। না হলে তাদের পরিণতিও হবে একই পথে, যেভাবে আওয়ামী লীগ গেছে।
ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নিয়ে নিজের অবস্থান জানিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, আমরা কাউকে শেখ হাসিনা বা নতুন স্বৈরাচার হতে দেব না। কেউই যেন ফ্যাসিস্ট রাজনীতির পুণরাবৃত্তি করতে না পারে, সে জন্যই এনসিপি কাজ করছে।
এ সময় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম প্রসঙ্গে সারজিস আলম জানান, নভেম্বরের মধ্যেই জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে এনসিপি। আর যদি ফেব্রুয়ারিতেও নির্বাচন হয়, তাহলে সংগঠনের শক্তির জোরে এনসিপি সরকার গঠন কিংবা শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকায় লড়বে।
দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা’ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সারজিস বলেন, এনসিপি আইনগতভাবে এই প্রতীকের অধিকারী। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে যদি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে, তাহলে শিগগির শাপলাকে এনসিপির নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ঘোষণা করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। যদি তা না হয় এবং নির্বাচন কমিশন যদি কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করার গ্রহণযোগ্যতাই হারিয়ে ফেলবে।
সারজিস আলম বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আইনগতভাবে শাপলা প্রতীকের অধিকার আমাদেরই। কমিশন যদি আইন মেনে চলে, তাহলে এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশ নেবে।
পি আর প্রশ্নে সারজিস আলম বলেন, আমরা ঐকমত্য কমিশনে বারবার বলেছি- আমরা শুধু উচ্চ কক্ষে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) চাই, নিম্ন কক্ষে নয়। প্রথমে উচ্চ কক্ষে এটা প্রয়োগ করে দেখা যাক। যদি সফল হয় এবং বাংলাদেশের জন্য প্রাসঙ্গিক প্রমাণিত হয়, তাহলে পরবর্তীতে নিম্ন কক্ষেও তা বিবেচনা করা যেতে পারে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি হোটেলে আয়োজিত সমন্বয় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— দলটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, কেন্দ্রীয় সদস্য আসিফ মোস্তফা জামান নেহাল, জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আলাউল হকসহ স্থানীয় নেতারা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: