বিশ্বসেরা বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় ইবি'র দুই শিক্ষক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত:
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:০৯ পিএম

ইবি প্রতিনিধি: বিশ্বের সেরা দুই শতাংশ বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুইজন শিক্ষক স্থান পেয়েছেন। সম্প্রতি এই তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডসভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসা ও বিজ্ঞানবিষয়ক প্রকাশনা সংস্থা 'এলসেভিয়ার'।
গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত তালিকায় স্থান পাওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা হলেন—বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান এবং কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান।
জানা গেছে, গবেষক ড. মিজানুর রহমান মাইক্রোবায়োলজি, এগ্রিকালচার প্লান্ট সায়েন্স, ইকোলজি, মৃত্তিকা বিজ্ঞান ফিল্ডে গবেষণা করছেন। তার বর্তমান মোট সাইটেশন ৩০৮৬। অন্যদিকে গবেষক ড. হাবিবুর রহমান বায়োইনফরমেটিক্স, মেশিন লার্নিং, NGS এনালাইসিস, ড্রাক ডিসকভারি নিয়ে কাজ করছেন। তার বর্তমান সাইটেশন ২৩৩৬। সাম্প্রতিক কার্যক্রম ও সাইটেশন দেখে প্রতিবছর তালিকাভুক্ত করা হয়ে থাকে।
গবেষক ড. হাবিবুর রহমান অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের শীর্ষ ২% বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পাওয়া শুধু আমার ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং এটি আমার বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের জন্য একটি সম্মানের বিষয়। এটি প্রমাণ করে যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশ থেকেও বিশ্বমানের গবেষণা করা সম্ভব।’
বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এটা বিভাগ থেকে শুরু করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু আমি একা না আরো গবেষক আছে। আমাদেরকে যদি বিশ্ববিদ্যালয় সাহায্য করে আমরা গবেষণা কার্যক্রমকে আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যারা প্রকৃতপক্ষে রিসার্চ করি তাদেরকে সেইভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। সবাইকে ঢালাও ভাবে কাজ দেওয়া হয়। যদি রিসার্চ সেল গঠন করা হয় এবং এর মাধ্যমে রিসার্চ ডিস্ট্রিবিউশন করলে আমাদের রিসার্চ আরও সমৃদ্ধ হবে।’
উল্লেখ্য, এলসেভিয়ার প্রতিবছর বিশ্বের সেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠানটি বছরে প্রায় ২ হাজারের বেশি জার্নাল প্রকাশ করে থাকে। এর প্রকাশিত নিবন্ধের সংখ্যা দুই লাখ ৫০ হাজারের বেশি এবং আর্কাইভে সংরক্ষিত প্রকাশনার সংখ্যা ৭০ লাখ ছাড়িয়েছে। এটি মূলত চিকিৎসা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও সামাজিক বিজ্ঞানের ওপর গবেষণাপত্র, বই এবং জার্নাল প্রকাশ করে থাকে।
LIMON
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: