ইশারা ভাষা দিবসে ডাকসুর ভিপি
কালচারাল ফ্যাসিবাদ রুখে দেবো: সাদিক কায়েম

আন্তর্জাতিক ইশারা ভাষা দিবস-২০২৫ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর উদ্যোগে আয়োজিত হলো কবিতা আবৃত্তি ও মূকাভিনয় প্রদর্শনী। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পায়রা চত্বরে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে উপচে পড়া দর্শকের ভিড় জমে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাহিত্য সম্পাদক আবিদ হাসান রাফি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এস এম মইনুল করিম। তারা আন্তর্জাতিক ইশারা ভাষার গুরুত্ব ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এর প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন।
আয়োজনের মূল দায়িত্বে ছিলেন ডাকসুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ ও কার্যনির্বাহী সদস্য শাহীনুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মিনহাজ এবং কার্যনির্বাহী সদস্য রায়হান উদ্দিন। প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম।
কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এতে অংশ নেন রিনা পারভিন, আফসানা হেনা, জাগ্রত জুলাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা বোরহান মাহমুদ এবং বিশ্ব জ্ঞানালয়ের উপাচার্য মৃন্ময় মিজান।
ডাকসুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, “কথা না বলেও মূকাভিনয়ের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের প্রতিরোধ সম্ভব—আজকের আয়োজনে আমরা সেটিই ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি। সংস্কৃতিতে বাক প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ।”
ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি মাল্টি-কালচারের প্রাঙ্গণ। আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দেশীয় সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে কালচারাল ফ্যাসিবাদ রুখে দেবো। আর কোনো বৈষম্য নয়—গ্রামবাংলার ঐতিহ্য, মাটি ও মানুষের সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনতে চাই।”
এরপর শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ মূকাভিনয় প্রদর্শনী। এতে অংশ নেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম একশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুস্তাহিদ রিয়াদ ও সংগঠনের সাবেক সভাপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম।
ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক আয়োজনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়।
এআরএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: