ভিডিও কলে রেখেই নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত:
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:০৯ পিএম

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী ভিডিও কলে রেখেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ফাহিমা সুলতানা মারিয়া (২২)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী এবং ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নোয়াখালী জেলা শহরের মসজিদ রশিদ কলোনির একটি ভাড়া বাসায়। রাতেই পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মসজিদ রশিদ কলোনির ওই বাসায় নোবিপ্রবির আরও ছয়জন ছাত্রী ভাড়া থাকেন। বিকেল থেকে পরিবারের সদস্যরা বারবার মারিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর ফোন বন্ধ পান। উদ্বিগ্ন হয়ে তাঁরা বিষয়টি মারিয়ার বাবার চাচাতো ভাই ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম ব্যাচের ছাত্র ফাহাদ পাটোয়ারীকে জানান।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ফাহাদ বাসায় গিয়ে ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি জানালার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মারিয়ার লাশ দেখতে পান এবং দ্রুত পুলিশে খবর দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর জামাল উদ্দিন বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বিকেল চারটার দিকে মারিয়া তাঁর এক বন্ধুকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দেন। তাঁর মোবাইল ফোনে এ সংক্রান্ত আলামত পাওয়া গেছে।”
সুধারাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মারিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। ঘটনার সময় তাঁর ফোনে ভিডিও কল চালু ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
হঠাৎ এমন মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সহপাঠী ও শিক্ষকরা এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁরা দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
LIMON
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: