শ্রীনগরে ব্রিজের উপরে দখলের গাড়ির স্ট্যান্ড! - সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।

ব্রিজের উপরে গাড়ির স্ট্যান্ড! ব্রিজের ওপর স্ট্যান্ড বানানোয় লেগে থাকে যানজট। ছবি ও ভিডিও: রুবেল ইসলাম - শ্রীনগর শাখা নদীর উপর দ্বিতীয় সেতু শ্রীনগর ব্রিজ।
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:জেলার দক্ষিণ ও-পশ্চিমাঞ্চলগামী মানুষেরা যাতায়াত করেন এই ব্রিজের উপর দিয়ে ঢাকার দোহার জেলায়। দিনে দিনে ব্রিজটি যাত্রীদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। প্রতিদিনই ব্রিজটিতে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা ঘটছে, অন্যদিকে সকাল থেকে রাত অবধি লেগে থাকে যানজট। শুধু ব্রিজটিতে চলাচল কারীরাই নন, ভোগান্তিতে পড়ছেন আশপাশের এলাকার বাসিন্দারাও। ব্রিজটি ছন বাড়ি ও বাজার থেকে শুরু হয়ে শেষ হয়েছে বাজারের মুল পয়েন্টে এতে লেগে থাকা যানজট নিমেষেই ছড়িয়ে পড়ে দুই পাড়ের এলাকায়। ফলে এলাকা দুটির বাসিন্দাদের পড়তে সীমাহীন ভোগান্তিতে। সম্প্রতি বাজার ব্রিজ ও এর আশপাশের এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজের উপরে অবৈধভাবে স্থাপিত হয়েছে দুটি গাড়ির স্ট্যান্ড। যেখানে এক/দুইশো অটোরিকশা ও লেগুনা দাঁড়িয়ে রয়েছে। ব্রিজটিতে যাতায়াতকারী সব গণপরিবহন স্ট্যান্ড দুটিতে যাত্রী ওঠা-নামা করাচ্ছে।
ব্রিজটির উপরে গাড়ির স্ট্যান্ডে যাত্রীদের আসতে পাশে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ব্রিজ দুটি তে পায়ে হাটার রাস্তা তাও হকারদের দখলে। ব্রিজে চড়ে যাত্রীরা উপরে উঠে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতেহয় না এখন । ব্রিজের উপরে অটোর লম্বা লাইনের জন্য যানজটের ভোগান্তি আরও যায় বেড়ে। ব্রিজের ওঠার পথে স্ট্যান্ড। রয়েছে মোট ৪টি এতে ব্রিজের ওঠার পথে থাকে প্রাই বন্ধ, ব্রিজের উপর গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করানোর কারণে পিছনে থাকা গাড়ি সামনের দিকে এগোতে পারে না। ফলে মুহূর্তের মধ্যেই ব্রিজের দুই পাশে লেগে যায় বিশাল যানজট। এই যানজট মিনিটের মধ্যেই ব্রিজ ছাড়িয়ে আশপাশের সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানিয় বিএনপি,নেতা,
দেলোয়ার মিয়া সহ কয়েকজন বাসিন্দারা বলেন - অটোরিকশা চলাচলে এর আশপাশের এলাকার যানজটের স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দায়ী করেন। অটোকিশা,সিএজি ও চালকদের কাছ থেকে মাসিক হারে তারা টাকা নিয়ে এই অবৈধ স্ট্যান্ড চালান বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অটোরিকশা ছাড়া অন্য জেলা কিংবা সিরিয়ালের অটোরিকশা এই ব্রিজে চলাচল নিষিদ্ধ। তারপরও ব্রিজটি দিয়ে নেতারা টাকা খেয়ে প্রতিদিন এক হাজারের মতো অবৈধ ও চোরাই অটোরিকশা চলাচল করতে দেন।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে যানজট লাগবে বলে ব্রিজে কোন গাড়ি রাখান বন্ধ করে দিয়েছে স্থানিয় সরকার। কিন্তু নেতা ও পুলিশ সদস্যরা টাকা খেয়ে অবৈধ স্ট্যান্ড বানিয়ে যানজটে ভোগাচ্ছেন মানুষজনকে। স্থানীয় বাসিন্দা আবু জাফর বলেন, চক বাজার ও ভাগ্যকুল সড়ক মোড় যানজট লাগার অন্যতম কারণ হলো- ব্রিজের উপর অবৈধ দুটি গাড়ির স্ট্যান্ড। ব্রিজের উপর অন্য কোথাও গাড়ির স্ট্যান্ড আছে কিনা আমার জানা নেই। মাওয়া ঘাটগামী অটো চালক শামিম মিয়া বলেন, আমরা তো ব্রিজ থেকে নেমেই যাত্রী ওঠানামা করাতে চাই, কিন্তু ব্রিজের নিচে যাত্রী ওঠা-নামা করালে পুলিশ আমাদের ধরে। ব্রিজের উপর অটোরিকশার স্ট্যান্ড থাকায় আমাদের গাড়ি চালাতেও আমাদের অনেক অসুবিধা হয়। এ বিষয়ে অটোরিকশা ও সিএজি, চালকরা জানান, নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা দিয়ে তারা এখানে গাড়ি নিয়ে আসেন। ব্রিজের নিচে যাত্রী ওঠা-নামা করতে দেয় না পুলিশ ও স্থানীয় নেতারা। তারাই এখানে গাড়ির স্ট্যান্ড বানিয়ে দিয়েছেন। চালকরা তাই ব্রিজের উপরেই যাত্রী ওঠানামা করান।বাজার এলাকায় যানজটের আরেক কারণ- ব্রিজের নিচের এলাকায় রাস্তায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ট্রাক ও ভ্যান স্ট্যান্ড। ব্রিজের পাশ দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন রাস্তা দখলের জন্য চলাচল করতে পারে না। ফলে এলাকা দুটিতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।
LIMON
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: