অভাবী হলে চাঁদাবাজি বাদ দিয়ে ভিক্ষা করেন: রফিকুল ইসলাম

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:০৯ এএম

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, চাঁদাবাজি করা হারাম, ভিক্ষা করা হালাল। যদি অভাবী হন, চাঁদাবাজি বাদ দিয়ে ভিক্ষা করেন, তাও ভালো। দুর্নীতি বন্ধ করেন। আপনার যদি অভাব হয়, তাহলে থালা নিয়ে রাস্তায় বসে যান।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড়পাঙ্গাসি ইউনিয়নের খাদুলি গ্রামে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রফিকুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশ একটি সুন্দর দেশ, সম্পদে ভরপুর। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ শুধু যদি দুর্নীতিমুক্ত করা যায়, আগামী পাঁচ বছরের ব্যবধানে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। তখন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধানকে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘোরা লাগবে না। আমি অনেক বড়বড় মিটিংয়ে বলেছি, ভিক্ষা করে পোলাও খাওয়া ভালো নাকি কাজ করে ডাল-ভাত খাওয়া ভালো? চাঁদাবাজি করে ঢিলেঢালা চলা ভালো নাকি কাজ করে আলু ভর্তা খাওয়া ভালো?

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, এই নির্বাচনের তিন দিন আগে এক রাজনৈতিক দলের সিনিয়র এক নেতাকে টকশোতে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, ডাকসু নির্বাচনে কি হবে? তখন তিনি বলছিলেন, ‘ডাকসুতে ফুল প্যানেলে বিজয়ী হবে’। কীভাবে হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘ছাত্রদল ছাড়া কাকে ভোট দেবে’। তাদের জমিদারি ভাব আর কি, এরা মনে করে বাংলাদেশের মানুষের আর ভোট দেওয়ার জায়গা নেই। এই ছাত্রদলের থেকে শিবির ভোট পেয়েছে তিনগুণ।

জামায়াতের এ নেতা বলেন, সরকার গঠন করলে এক নম্বর প্রায়োরিটি হিসেবে আমরা কি দেব এটি অনেক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করে। আমি বলি, জনগণ যদি আমাদেরকে ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দেয়, আমরা রাজা হবো না, আর জনগণকে আমরা প্রজা বানাবো না। আমরা হবো জনগণের সেবক। আগামী দিনে প্রথম প্রায়োরিটি হিসেবে আমরা বাংলাদেশকে ক্যাপসুল ফ্রি বাংলাদেশ বানাবো।

রফিকুল ইসলাম খান বলেন, জামায়াত যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে পায়, তাহলে বাংলাদেশে কোনো বেকার থাকবে না। আমরা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাতকে কর্মে পরিণত করব, শক্তিতে পরিণত করব। পরিকল্পিতভাবে চললে অনেক সহজে অনেক বড় কাজ করা সম্ভব।

জামায়াত যদি ক্ষমতায় যায়, তখন অমুসলিমদের কি হবে? এ নিয়ে তিনি বলেন, অমুসলিমরা সবচেয়ে বেশি ভালো থাকবে। আমি আজকে অনেকগুলো পূজামণ্ডপে গিয়েছিলাম দেখার জন্য। অনেকে বলেছে আমরা সংখ্যালঘু। তবে আমরা বলেছি বাংলাদেশের যারা জন্মগ্রহণ করেছেন, প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষই এ দেশের নাগরিক। সুতরাং একজন মুসলমান যেমন নাগরিক অধিকার পাবে, তেমনি একজন অমুসলিম নাগরিক অধিকার পাবে।

আলোচনা সভায় উপজেলার খাদুলি ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি হাবিবুর রহমান বিপ্লবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী উল্লাপাড়া উপজেলা শাখার আমির অধ্যাপক মো. শাহজাহান আলী, উপজেলা সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক মো. আব্দুল বারীসহ স্থানীয় নেতারা।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর