'পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অর্থ-অস্ত্র দিয়ে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছে ভারত'
আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৫ ১২:১৩ এএম

ভারত দেশের পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ করে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।
বুধবার বিকেলে ঝিনাইদহ ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রাশেদ খাঁন বলেন, “বাংলাদেশে বর্তমানে নির্বাচনী হাওয়া বইছে। ঠিক এই অবস্থায় ভারত এবং আওয়ামী লীগ মিলে নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করছে। এই চক্রান্তের অংশ হিসেবে পাহাড়ে এক ধরণের অশান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে।”
পাহাড়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেখানে একজন কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ— এটা কাঙ্ক্ষিত নয়, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা মনে করি যে, সেখানে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, তাদেরকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে ভারত।”
তিনি আরও বলেন, “ভারত চায় বাংলাদেশ যাতে কোনোভাবেই মাথা উঁচু করতে না পারে। বাংলাদেশকে তাদের করদ রাজ্য বানাতে চায়। এদেশের জনগণ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ভারত বাংলাদেশকে তাদের করদ রাজ্য বানাতে পারবে না।”
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে রাশেদ খান বলেন, “দেশে যথাসময়ে নির্বাচন হবে। ফেব্রুয়ারিতে যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে, জনগণ তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেবে।”
তিনি বিরোধী দলগুলোর প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের মধ্যে মতবিরোধ থাকতে পারে, দাবির পার্থক্য হতে পারে। এই মুহূর্তে যদি আমরা নতুন নতুন দাবি দিয়ে আন্দোলন করি, তাতে জনগণ বিভ্রান্ত হবে।”
তিনি বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ গণঅভ্যুত্থানের সকল শক্তির কাছে অনুরোধ রেখে বলেন, “সকল শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকুন।”
রাশেদ খান বলেন, “ভারত কিন্তু চক্রান্ত করছে। হাসিনা কিন্তু দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত করছে। নির্বাচনের আগে আমরা কি বিভিন্ন দাবি সামনে নিয়ে আন্দোলনে যুক্ত হবো?”
তিনি সকলের প্রতি ফ্যাসিবিাদি শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ এবং সজাগ থাকার আহ্বান জানান। এ সময় রাশেদ সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় ও জেলা-উপজেলার নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: