‘শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি, পাকিস্তানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন’

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ০৩ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:১০ পিএম

শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি, বরং পাকিস্তানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই থেমে থাকেননি, নয় মাস রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। লাখো শহীদের মতো তিনিও শহীদ হতে পারতেন।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। আলোচনা, সম্মাননা প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অনুরাগ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে আবার তার পেশায় চলে গিয়েছিলেন, রাজনীতিতে আসেননি। নানান বিবর্তনের মধ্যে একসময় সিপাহী এবং জনতা ৭ নভেম্বরে তাকে আবার সামনে নিয়ে এসেছিল। তিনি দেশের হাল ধরেন। তার রাজনৈতিক আদর্শ ও ত্যাগ আজও বাংলাদেশের মানুষকে প্রেরণা দেয়।

তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান মানুষের হৃদয়ের মধ্যে যে গভীরতার স্থান অর্জন করেছিলেন- তার সহধর্মিণী পরবর্তী সময়ে আপসহীন নেত্রী হিসেবে শুধু জাতির কাছেই নয়, সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়া। এ কারণেই আমরা তাকে (খালেদা জিয়া) আপসহীন বলি। শত নির্যাতন, শত হামলা-মামলা কোনোটাই তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ‘এরশাদকে যেতে হবে’— এই প্রতিশ্রুতি তিনি জাতিকে দিয়েছিলেন এবং তা পালন করেন। ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই এরশাদকে বিদায় করা হয়েছিল।

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে শয়তানও হয়তো তার তুলনায় কম ভয়ঙ্কর মনে হয়। তাকে বিদায় করার অন্যতম নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, একটি পরিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ থেকে স্বৈরাচার উৎখাত পর্যন্ত দুটি গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে। আরেক পরিবার পরিচিত হয়েছে ব্যাংক ডাকাত হিসেবে। শেখ হাসিনা প্রথম ব্যাংক ডাকাত নন, তার পরিবারের একজন শেখ মুজিবের জীবদ্দশায়ই এক বিখ্যাত ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই ঘটনা শুধু দেশবাসী নয়, সারা বিশ্ব জানে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন, গুম-খুন, দমন-পীড়ন ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে অচল অবস্থায় নিয়ে গেছেন। এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সাচ্চা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জরুরি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অনুরাগ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা মতিহার। এতে বিএনপির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি শামীম মাহমুদ, অভিনেতা এ বি এম সোহেল রশিদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রুবিনা আলমগীর, কবি ও সাংবাদিক আকাশমনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর